গত এক দশকে ৬৪ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। আর বেশিরভাগ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে সাগরের পানিতে ডুবে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা-আইওএম এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। চলতি বছর সাগর পথে পাড়ি দিতে গিয়ে বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হচ্ছে যা খুব উদ্বেগের বলেও জানিয়েছে আইওএম।
ভিন্ন ভিন্ন পথে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে। গত ১০ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে সাগরের পানিতে ডুবে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন-আইওএম এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৬ হাজারের মধ্যে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছে ২৭ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী। আর যেসব মানুষ এই পথে নিখোঁজ হয়েছে তার প্রতি তিনজনের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অর্ধেক মৃত ব্যক্তির লিঙ্গ বা বয়স নির্ধারণ করতে পারেনি আইওএম। যাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে এক তৃতীয়াংশ যুদ্ধকবলিত দেশগুলো থেকে এসেছে।
আইওএম বলেছে, তারা যে সংখ্যা উপস্থাপন করেছে তা প্রকৃত সংখ্যার ভগ্নাংশ মাত্র। ভূমধ্যসাগরের মতো এলাকায় ঘটা কোন দুর্ঘটনার নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া খুব কঠিন। ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে সাড়ে আট হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এক দশক আগে আইওএম-এর ডাটা সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী বছর।
গেলো বছরের তুলনায় এ বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু গত দুই মাসে যত অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে তা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি। আইওএম বলছে, এই অঞ্চলে তল্লাশি এবং উদ্ধার তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন। তাহলেই অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।